এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় এলার্জি চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা। এটি শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ত্বকে। এলার্জি চুলকানি হলে আক্রান্ত স্থানে লাল হয়ে যায়, ফুলে যায় এবং চুলকাতে থাকে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয় এবং কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। আরো পড়ুন: ছেলেদের মেয়েদের কন -ডম গুপ্ত –  স্থান মেয়েদের পু -শি  কিনতে – এখনই কিনুন

এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

অ্যালার্জির কারণ এড়িয়ে চলা

এলার্জি চুলকানি থেকে মুক্ত থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, যে বস্তুতে অ্যালার্জি রয়েছে, তার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। যেমন, যার ধুলাবালিতে অ্যালার্জি, তিনি ঘর ঝাড়ামোছা করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরবেন। যার ডিটারজেন্ট বা সাবানে অ্যালার্জি, তিনি বাসনকোসন, কাপড়চোপড় ধোয়ার সময় হাতে গ্লাভস পরবেন।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা

ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং চুলকানি কমায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

ঠান্ডা সেঁক দেওয়া

ঠান্ডা সেঁক চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। তাই আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভেজা তোয়ালে সেঁক দিন। অথবা, তোয়ালেতে বরফ পেঁচিয়ে আক্রান্ত স্থানে হালকাভাবে সেঁক দিন। ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার ফলে আক্রান্ত স্থানের রক্তনালী সংকুচিত হয় এবং চুলকানি কমে যায়।

অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ সেবন করা

হিস্টামিন নামক রাসায়নিক পদার্থের কার্যকারিতা বন্ধ করে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধের বিভিন্ন ধরনের আছে। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ সেবন করুন।

স্টেরয়েড মলম ব্যবহার করা

গুরুতর চুলকানি হলে স্টেরয়েড মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, স্টেরয়েড মলম দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিত নয়। স্টেরয়েড মলম ব্যবহারের ফলে ত্বকের পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

ঘরোয়া প্রতিকার

এলার্জি চুলকানির জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও রয়েছে। যেমন:

• ক্যালামাইন লোশন: ক্যালামাইন লোশন চুলকানি কমাতে খুব ভালো কাজ করে। ক্যালামাইন লোশন ত্বকের রক্তনালী সংকুচিত করে এবং চুলকানি কমায়।
• অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং চুলকানি কমায়। অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে লাগান।
• চা গাছের তেল: চা গাছের তেল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। চা গাছের তেল আক্রান্ত স্থানে হালকাভাবে মালিশ করুন।

এলার্জি চুলকানি প্রতিরোধ

এলার্জি চুলকানি প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:

• ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন যাতে ধুলাবালি বা অন্যান্য অ্যালার্জেন ঘরে প্রবেশ করতে না পারে। ঘরের ফার্নিচার এবং অন্যান্য আসবাবপত্র