মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধের নাম

মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধের নাম মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধগুলি সাধারণত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ির মতোই কাজ করে। এগুলিতে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোন থাকে যা মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। আরো পড়ুন: ছেলেদের মেয়েদের কন -ডম গুপ্ত –  স্থান মেয়েদের পু -শি  কিনতে – এখনই কিনুন

মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধের নাম

ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন একসাথে কাজ করে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণকে বাধা দেয়। এটি গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তবে, এই হরমোনগুলি মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

মাসিক চক্রের প্রথম অংশে, ইস্ট্রোজেন উচ্চ মাত্রায় থাকে। এটি ডিম্বাশয়কে ডিম্বাণু তৈরি করতে উদ্দীপিত করে। দ্বিতীয় অংশে, প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণকে প্রতিরোধ করে এবং জরায়ুতে একটি ঘন শ্লেষ্মা স্তর তৈরি করে। এই শ্লেষ্মা স্তর শুক্রাণুকে জরায়ুতে প্রবেশ করা থেকে বাধা দেয়।

মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধগুলি মাসিক চক্রের দ্বিতীয় অংশে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণকে প্রতিরোধ করে এবং জরায়ুতে রক্তপাতকে বিলম্বিত করে।

মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধগুলি সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার ৫ থেকে ৭ দিন আগে থেকে খেতে শুরু করতে হয়। এগুলি খেলে মাসিক ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন মহিলার মাসিক 10ই ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা থাকে, তাহলে সে 5ই ফেব্রুয়ারি থেকে মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধ খেতে শুরু করতে পারে। এতে তার মাসিক 15ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে।

মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ, এই ঔষধগুলির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।

মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধ খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল:

• মাথাব্যথা
• বমি বমি ভাব
• বমি
• পেট ব্যথা
• যোনিপথে রক্তপাত
• স্তনের কোমলতা
• ওজন বৃদ্ধি

মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধগুলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এগুলি গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মাসিক পিছিয়ে দেওয়ার ঔষধগুলি ব্যবহার করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:

• এই ঔষধগুলি শুধুমাত্র সাময়িকভাবে মাসিক পিছিয়ে দিতে ব্যবহার করা উচিত।
• এই ঔষধগুলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলে গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
• এই ঔষধগুলি ব্যবহার করার সময় যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।