Description
চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অ্যালার্জি, ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের সংক্রমণ, এবং ত্বকের ক্যান্সার ইত্যাদি কারণে চুলকানি হতে পারে। চুলকানির কারণ নির্ধারণ করে তার উপযুক্ত চিকিৎসা করা হয়।
চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম
অ্যান্টিহিস্টামিন
অ্যান্টিহিস্টামিন হল চুলকানি দূর করার জন্য সবচেয়ে সাধারণ ঔষধ। অ্যালার্জির কারণে চুলকানি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন ঔষধ ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিহিস্টামিন ঔষধ হিস্টামিন নামক একটি পদার্থের কাজকে বাধা দেয়, যা চুলকানির জন্য দায়ী। অ্যান্টিহিস্টামিন ঔষধ ট্যাবলেট, সিরাপ, বা ক্রিম আকারে পাওয়া যায়।
অ্যান্টিহিস্টামিনের কিছু উদাহরণ হল:
- লোরাটাদিন (লোরাটাডিন, ক্লারিন, ইত্যাদি)
- সেটিরিজিন (সেটিরিজিন, হিক্সি, ইত্যাদি)
- ফেক্সোফেনাডিন (আলিভ, ডিফেনাডিন, ইত্যাদি)
কর্টিকোস্টেরয়েড
কর্টিকোস্টেরয়েড হল চুলকানি দূর করার জন্য আরেকটি কার্যকর ঔষধ। ত্বকের প্রদাহের কারণে চুলকানি হলে কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষধ ব্যবহার করা হয়। কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষধ ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। কর্টিকোস্টেরয়েড ঔষধ ক্রিম, মলম, বা ইনজেকশন আকারে পাওয়া যায়।
কর্টিকোস্টেরয়েডের কিছু উদাহরণ হল:
- বেটামেথাসান (বেটামেথাসান, লোটেন, ইত্যাদি)
- হাইড্রোকর্টিসোন (হাইড্রোকর্টিসোন, সিনোলোন, ইত্যাদি)
- ট্রিমসিনোলোন (ট্রিমসিনোলোন, বায়োপোস্টিন, ইত্যাদি)
অন্যান্য ঔষধ
কিছু ক্ষেত্রে, চুলকানির জন্য অন্যান্য ঔষধও ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, ত্বকের সংক্রমণের কারণে চুলকানি হলে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
অন্যান্য ঔষধের কিছু উদাহরণ হল:
- অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ (ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণের জন্য)
- অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ (ত্বকের ভাইরাস সংক্রমণের জন্য)
- ওষুধী উদ্ভিদের নির্যাস (যেমন, ক্যালামাইন, অ্যালোভেরা, ইত্যাদি)
চুলকানি দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার
চুলকানি দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও রয়েছে। যেমন,
- ঠান্ডা সেঁক: ঠান্ডা সেঁক চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। একটি তোয়ালে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চুলকানিযুক্ত জায়গায় লাগাতে হবে।
- ক্যালামাইন লোশন: ক্যালামাইন লোশন চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। ক্যালামাইন লোশন ত্বককে শীতল এবং শুষ্ক করে চুলকানি কমায়।
- অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে চুলকানি কমায়।
এছাড়াও, চুলকানি কমাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিও লক্ষ্য রাখতে হবে:
- চুলকানিযুক্ত জায়গা ঘষা থেকে বিরত থাকুন।
- চুলকানিযুক্ত জায়গায় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন।
- চুলকানিযুক্ত জায়গায় লোশন বা মলম ব্যবহার করুন।
- চুলকানিযুক্ত জায়গায় ঢিলেঢালা এবং আরামদায়ক পোশাক পরুন।
Reviews
There are no reviews yet.