Description
ইব্রাহিম আঃ কে জাতির পিতা বলা হয় কেন
ইব্রাহিম আঃ কে জাতির পিতা বলা হয় কেন ,হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে মুসলিম জাতির পিতা বলার প্রধান কারণ হলো: এই সকল কারণেই হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে মুসলিম জাতির পিতা বলা হয়। এই ধর্মগুলির মতে, আদম (আঃ) হলেন মানবজাতির প্রথম পিতা। এবং হাওয়া (আঃ) হলেন প্রথম মাতা।
50% ছাড়ে: আপনার প্রয়োজনীয় সকল পণ্য ন্যায্য মূল্যে কিনতে ভিজিট করুন – এক্ষুনি কিনুন
50% ছাড়ে: আপনার প্রয়োজনীয় সকল পণ্য ন্যায্য মূল্যে কিনতে ভিজিট করুন – এক্ষুনি কিনুন
-
একেশ্বরবাদের প্রতিষ্ঠাতা:
- হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ছিলেন একেশ্বরবাদের অন্যতম প্রধান প্রচারক।
- তিনি তৎকালীন সমাজে প্রচলিত বহু ঈশ্বরবাদের বিরোধিতা করে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের আহ্বান জানান।
-
মুসলিম জাতির উৎস:
- কুরআন শরীফে উল্লেখ আছে, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর দুই পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) এবং হযরত ইসহাক (আঃ)।
- হযরত ইসমাইল (আঃ) এর বংশধরদের মধ্যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম। আর হযরত ইসহাক (আঃ) এর বংশধরদের মধ্যে অনেক নবীর আগমন ঘটে।
- তাই, হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে মুসলিম জাতির উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
কুরআনের স্বীকৃতি:
- কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে মুসলিম জাতির পিতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা হজ্জের ৭৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
- “তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের ধর্মে কায়েম থাকো। তিনিই তোমাদেরকে মুসলিম নামে অভিহিত করেছেন।”
- ধর্মীয় ঐতিহ্য:
- ইসলাম ধর্ম ছাড়াও, ইহুদি ও খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরাও হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে সম্মান করেন। তাই, তিনি একই সাথে বহু ধর্মের জনক হিসেবে পরিচিত।
- কোরবানি ও হজ্জের বিধান:
- হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এবং তার শিশুপুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) ইসলামে কুরবানি ও হজ্জের বিধান চালু করেন যা বর্তমানের মুসলিমদের দ্বারাও পালিত হয়।
- শ্রদ্ধা ও সম্মান:
- পিতা-মাতার সাথে সর্বদা সম্মানজনক আচরণ করা উচিত।
- তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং মেনে চলা উচিত।
- তাঁদের সামনে উচ্চস্বরে কথা বলা বা তর্ক করা উচিত নয়।
- যত্ন ও সেবা:
- তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া উচিত।
- তাঁদের খাবার, ওষুধপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা উচিত।
- তাঁদের একাকিত্ব দূর করার জন্য তাঁদের সাথে সময় কাটানো উচিত।
- দোয়া:
- তাঁদের জন্য সর্বদা দোয়া করা উচিত।
- তাঁদের গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিত।
- তাঁদের জান্নাত লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত।
- ভালো ব্যবহার করা:
- পিতা-মাতার মৃত্যুর পরেও তাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, এবং তাদের বন্ধুদের সাথে ভালো ব্যবহার করা।
- তাদের কবরের পাশে গিয়ে দোয়া করা।
- পিতা মাতার মৃত্যুর পরে তাদের কোনো শরিয়ত সম্মত অসিয়ত থাকলে তা পূরণ করা।
পিতা-মাতার প্রতি আমাদের কর্তব্য শুধু ধর্মীয় বা সামাজিক নয়, এটি আমাদের মানবিক দায়িত্বও।
তাঁদের প্রতি যত্নবান হওয়ার মাধ্যমে আমরা শুধু তাঁদের প্রতি নয়, নিজেদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করি।
Reviews
There are no reviews yet.