অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয়

 এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে:

• সঠিক নির্ণয়: কৃমির ধরন এবং সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরী।
• ওষুধ: চিকিৎসক কৃমিনাশক ওষুধ নির্ধারণ করবেন, যা কৃমি ধ্বংস করতে সাহায্য করবে।
• জটিলতা: কখনও কখনও কৃমি সংক্রমণ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জটিলতার চিকিৎসা করতে হবে।
• নারকেল: নারকেল কুচি সকালে খালি পেটে খাওয়া এবং এরপর কয়েক ঘণ্টা পর গরম দুধের সাথে কাস্টর অয়েল মিশিয়ে খাওয়া কার্যকর।
• রসুন: রসুনের অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক গুণ রয়েছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু’কোয়া রসুন খেতে পারেন।
• লবঙ্গ: লবঙ্গের অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ কৃমি নষ্ট করে দেয়। প্রতিদিন ১-২টি লবঙ্গ খেতে পারেন।
• গাজর: গাজরের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি এবং জিঙ্ক শরীরে কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
• হলুদ: হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে গরম জল খেতে পারেন।
• পরিচ্ছন্নতা: নখ কাটা, হাত ধোয়া, খাবারের আগে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
• পরিষ্কার খাবার: পরিষ্কার পানি পান করুন এবং পরিষ্কার খাবার খান। কাঁচা সবজি ভালো করে ধুয়ে খান।
• পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, খিঁচুনি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে।
• ঘরোয়া প্রতিকারে উপকার না হলে।
• কৃমির লক্ষণ দীর্ঘদিন ধরে থাকলে।

মনে রাখবেন: ঘরোয়া প্রতিকারগুলি চিকিৎসকের পরামর্শের পরিবর্তে নয়। সবসময় একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়।

আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন!

আরও জানতে চাইলে, নিম্নলিখিত লিঙ্কগুলো দেখতে পারেন:

• কৃমির সমস্যা দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে: https://www.kalbela.com/health/treatment/41457
• কৃমি তাড়াতে ৮টি ঘরোয়া টোটকা জেনে নিন: https://www.anandabazar.com/lifestyle/8-effective-home-remedies-for-deworming-dgtl-1.571559

আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, দ্বিধা করবেন না, জিজ্ঞাসা করুন।