অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব

  শুকনো কাশি, কফযুক্ত কাশি নাকি অ্যালার্জির কারণে কাশি হচ্ছে, তার ওপর ওষুধের ধরন নির্ভর করে।

শুকনো কাশির জন্য:

• ডেক্সট্রোমেথোরফান (Dextromethorphan): এটি শুকনো কাশির জন্য ভালো ওষুধ। এটি কাশি কমাতে সাহায্য করে।
• মধু: মধু প্রাকৃতিক কাশি নিরাময়কারী। গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি কমে।

কফযুক্ত কাশির জন্য:

• গুয়াইফেনেসিন (Guaifenesin): এটি কফ পাতলা করে বের করতে সাহায্য করে।
• লবণ জল দিয়ে গার্গল: এটি গলা পরিষ্কার রাখে এবং কফ কমাতে সাহায্য করে।

অ্যালার্জির কারণে কাশির জন্য:

• অ্যান্টিহিস্টামিন (Antihistamine): অ্যালার্জির কারণে কাশি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
• নেসাল স্প্রে: এটি নাক বন্ধ থাকলে শ্বাস নিতে সাহায্য করে।

কিছু ঘরোয়া উপায়:

• আদা: আদা চা বা আদা-মধুর মিশ্রণ কাশি কমাতে সাহায্য করে।
• তুলসী পাতা: তুলসী পাতা গরম জলে ফুটিয়ে খেলে কাশি কমে।
• গরম জল: গরম জল পান করলে গলা পরিষ্কার থাকে এবং কাশি কমে।

বিশেষ সতর্কতা:

• শিশুদের কাশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ দেবেন না।
• দীর্ঘদিন ধরে কাশি হলে বা কাশির সঙ্গে জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা থাকলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
• যক্ষ্মা বা অন্য কোনো রোগের কারণেও কাশি হতে পারে, তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

• ওষুধ খাওয়ার আগে ওষুধের প্যাকেটের নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নিন।
• ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
• কাশি যদি ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তবে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।