রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কি

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা নির্ধারণ নির্ভর করে নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা ও সংবিধানের উপর।

সাধারণভাবে, তিনটি প্রধান ধরণের শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান:

• গণতন্ত্র: এই ব্যবস্থায়, জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে এবং তারাই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ধারণ করে।
• রাজতন্ত্র: এই ব্যবস্থায়, একজন রাজা বা রানী ঐতিহ্যগতভাবে বা উত্তরাধিকারসূত্রে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ধারণ করে।
• স্বৈরাচারী শাসন: এই ব্যবস্থায়, একজন ব্যক্তি বা একটি ছোট্ট গোষ্ঠী সরকার নিয়ন্ত্রণ করে এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ধারণ করে।

এছাড়াও, কিছু রাষ্ট্রে মিশ্র শাসন ব্যবস্থাও বিদ্যমান যেখানে একাধিক শাসন ব্যবস্থার উপাদান একত্রিত করা হয়।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে:

• বাংলাদেশ একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র।
• সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত।
• জাতীয় সংসদ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত।
• রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক প্রধান, তবে তাদের ক্ষমতা সীমিত।

উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার ধারণা ক্রমবর্ধমান জটিল হয়ে উঠছে।

• আন্তর্জাতিক আইন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুজাতিক কোম্পানির ক্রমবর্ধমান প্রভাব রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ধারণাকে প্রভাবিত করছে।
• নাগরিক সমাজ এবং সুশীল সমাজের ভূমিকাও ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

সুতরাং, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কার হাতে তা একটি জটিল প্রশ্ন যার কোন সহজ উত্তর নেই। উত্তর নির্ভর করে নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর।