Description
জরায়ু কেটে ফেললে কি সমস্যা হয় এ প্রশ্নের উত্তর হয়ত অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানাই কেটে ফেললে কোন কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে তার একটি ছোট্ট তালিকা উপস্থাপন করেছি চলুন দেখে নেয়া যাক ।
জরায়ু কেটে ফেললে কি সমস্যা হয়
জরায়ু কেটে ফেলার পর প্রথম সমস্যা হল মাসিক এর সমস্যা
নারীদের মাসিক হওয়ার মূল কারণ ইস্ট্রোজেন নামের একটি হরমোন। এই হরমোন নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য চক্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের ওভারি বা ডিম্বাশয়ে প্রতিমাসে যে ডিম্ব উৎপাদন হয় এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য নারীর শরীর যেভাবে প্রস্তুত হয় তার পেছনেও রয়েছে এই হরমোনের ভূমিকা। কিন্তু বয়স হতে থাকলে নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের উৎপাদন কমে যেতে থাকে। এই হরমোনই প্রজননের পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। আরো পড়ুন: ছেলেদের পে-নি লম্বা করার ঔষধ ৭৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এখনই ঔষধ কিনুন
জরায়ু কেটে ফেলার পর নারীদের মাসিক পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এতে নারীদের শরীরে নানা প্রভাব দেখা দেয়। যেমন রাতের বেলায় ঘাম হওয়া, ঘুম না হওয়া, দুশ্চিন্তা হওয়া, মনমরা ভাব এবং যৌনতায় বা মিলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। এছাড়া মূত্রথলিতে সমস্যা এবং যোনিপথ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখা দিতে পারে।
জরায়ু কেটে ফেলার পর বাচ্চা ধারন সমস্যা
আসলে মহিলাদের বাচ্চা হয় জরায়ুতে ডিম্বকের নিষিক্ত হওয়ার ফলে। যদি দেখা যায় কোনো মহিলার ডিম্বাশয় নেই, সেক্ষেত্রে তার বোনের কাছ থেকে বা তার রিলেটিভের কাছ থেকে অথবা অন্য কারো কাছ থেকে (যেটাকে বলা হয় ডোনার এগ) সেই ডিম্বাশয়টা নিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করা যায়। কিন্তু জরায়ু কেটে ফেলার পর মহিলাদের বাচ্চা ধারনের ক্ষমতা একেবারেই শেষ হয়ে যায়। কারন জরায়ুতে ডিম্বক নিষিক্ত হয় তাই সেটা না থাকলে ডিম্বক নিষিক্ত হয় না আর বাচ্চা ও কনসিভ হয না।
তবে বর্তমানে জরায়ু ছাড়াও বাচ্চার মা হওয়া যায়। জরায়ু কেটে ফেলার পর ঐ মহিলার ডিম্বানু ও তার স্বামীর শুক্রানু বাইরে নিষিক্ত করে তার বোনের বা কোনো রিলেটিভের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করলে ওখানে বাচ্চাটা ধীরে ধীরে পরিণত হলে প্রসব করানো যায়। এভাবে যে শিশু পৃথিবীর আলো দেখে সেটি কিন্তু তাদেরই বাচ্চা। যদিও এটি আমাদের দেশে আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ।
জরায়ু কেটে ফেলার পর সহবাস এর সমস্যা
জরায়ু অর্গাজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে জরায়ু কেটে ফেলার পর মহিলাদের ক্লিটোরেসিস বা জি স্পট সিমুলেশন অর্গাজম করাতে পারে। তাই জরায়ু কেটে ফেলার পর যে কোনো মহিলা সহবাস করতে পারবেন। তবে জরায়ু কেটে ফেলার কতদিন পর সহবাস করা যাবে? এটা অবশ্য রোগীর কন্ডিশনের উপর ভিত্তি করে সময় কম বেশি হতে পারে।
মানে একেক রোগীর ক্ষেত্রে একেক রকম সময় লাগতে পারে। সাধারণত ১-২ মাস পর্যন্ত বিরত থাকা ভালো। সবথেকে ভালো হয় আপনার ডাক্তার যতদিন সুস্থ বলে ঘোষনা না দিবেন ততদিন পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকা। তবে অবশ্যই এক মাসের আগে সহবাস করা যাবে না। তাহলে ক্ষতি হতে পারে। জরায়ু কেটে ফেলার ২ মাস পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সহবাস করতে পারবেন।
Reviews
There are no reviews yet.