শুক্রাণু কি – what is sperm

শুক্রাণু হলো পুরুষের দেহে উৎপাদিত একটি ছোট্ট কোষ, যা যৌন প্রজননের মাধ্যমে নতুন জীবের সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শুক্রাণুর কাজ:

• নিষিক্তকরণ: শুক্রাণু মহিলার ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে নিষিক্তকরণ ঘটায়। এই প্রক্রিয়ায় একটি নতুন জীবের সৃষ্টি হয়।
• বংশগতি: শুক্রাণু পুরুষের অর্ধেক জিনগত তথ্য বহন করে। নিষিক্তকরণের মাধ্যমে এই জিনগত তথ্য ডিম্বাণুর সাথে মিশে নতুন জীবের জিনগত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।

শুক্রাণুর গঠন:

একটি শুক্রাণু সাধারণত তিনটি অংশে বিভক্ত:

• • মাথা: শুক্রাণুর মাথায় নিউক্লিয়াস থাকে যাতে জিনগত তথ্য থাকে। মাথার সামনের অংশে অ্যাক্রোসোম নামক একটি ক্যাপ থাকে যা ডিম্বাণুর আবরণ ভেদ করতে সাহায্য করে।
  • মাঝখানের অংশ: এই অংশে মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে যা শুক্রাণুকে শক্তি সরবরাহ করে।
  • লেজ: লেজের দ্রুত নড়াচড়ার মাধ্যমে শুক্রাণু ডিম্বাণুর দিকে সাঁতার কাটতে পারে।

শুক্রাণু উৎপাদন:

শুক্রাণু পুরুষের অণ্ডকোষে উৎপাদিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে স্পার্মাটোজেনেসিস বলে। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং সম্পূর্ণ হতে প্রায় 70 দিন সময় লাগে।

শুক্রাণুর গুণগত মান:

শুক্রাণুর গুণগত মান বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন:

• শুক্রাণুর সংখ্যা: এক মিলিলিটার বীর্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক শুক্রাণু থাকা উচিত।
• শুক্রাণুর গতিশীলতা: শুক্রাণু স্বাভাবিকভাবেই ডিম্বাণুর দিকে সাঁতার কাটতে পারে।
• শুক্রাণুর আকৃতি: শুক্রাণুর আকৃতি স্বাভাবিক হওয়া উচিত।

যদি কোনো পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মান কম হয়, তাহলে তাকে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে।

শুক্রাণুর গুণগত মানকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কিছু কারণ:

• জীবনযাত্রা: ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ ইত্যাদি শুক্রাণুর গুণগত মানকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
• রোগ: কিছু রোগ, যেমন মধুমেহ, থাইরয়েড সমস্যা ইত্যাদি শুক্রাণুর গুণগত মানকে প্রভাবিত করতে পারে।
• ঔষধ: কিছু ঔষধ শুক্রাণুর গুণগত মানকে প্রভাবিত করতে পারে।

শুক্রাণুর গুণগত মান সম্পর্কে কোনো সমস্যা হলে একজন ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।

আপনার আরো কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।