শব্দ শক্তি কাকে বলে – What is sound energy?

• শব্দ তরঙ্গ: শব্দ শক্তি মূলত তরঙ্গের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। এই তরঙ্গগুলোকে শব্দ তরঙ্গ বলে। শব্দ তরঙ্গ দুই প্রকার:

  • অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ: এই ধরনের তরঙ্গে কণাগুলো তরঙ্গের গমনের দিকে কম্পন করে। বাতাসে শব্দ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে এই ধরনের তরঙ্গই সৃষ্টি হয়।
  • আড় তরঙ্গ: এই ধরনের তরঙ্গে কণাগুলো তরঙ্গের গমনের দিকের লম্বভাবে কম্পন করে। পানিতে তৈরি তরঙ্গ এই ধরনের উদাহরণ।

• শব্দের বৈশিষ্ট্য: শব্দকে বর্ণনা করার জন্য আমরা বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করি:

  • তীব্রতা: শব্দের উচ্চতা বা নিচুতাকে তীব্রতা বলে। এটি শব্দ উৎসের কম্পনের বিস্তারের উপর নির্ভর করে।
  • স্বর: শব্দের ধাতু বা প্রকৃতিকে স্বর বলে। এটি শব্দ উৎসের কম্পনের কম্পাঙ্কের উপর নির্ভর করে।
  • সুর: একাধিক শব্দের মিশ্রণকে সুর বলে।
  • নাদ: কোনো নির্দিষ্ট স্বরের অনুভূতি বা ধারণাকে নাদ বলে।

• শব্দ শক্তির পরিমাপ: শব্দের তীব্রতা পরিমাপের জন্য ডেসিবেল (dB) একক ব্যবহৃত হয়।

শব্দ শক্তির উদাহরণ আমরা প্রতিদিনের জীবনেই দেখতে পাই:

• প্রকৃতি: পাখির কলকল, জলপ্রপাতের শব্দ, বাতাসের শিস
• মানুষ: কথা বলা, গান গাওয়া, হাসি, কান্না
• জীবজন্তু: বিভিন্ন প্রাণীর ডাক
• বস্তু: বাদ্যযন্ত্র, যানবাহন, মেশিন

শব্দ শক্তির ব্যবহারও অসংখ্য:

• যোগাযোগ: কথা বলা, ফোন করা, রেডিও, টেলিভিশন
• সঙ্গীত: গান, বাদ্যযন্ত্র
• চলচ্চিত্র: শব্দ প্রভাব
• সতর্কতা: সাইরেন, ঘণ্টা
• মজা: গেম, ভিডিও
• বিজ্ঞান: শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে দূরত্ব পরিমাপ, পদার্থের গঠন নির্ণয় ইত্যাদি।

অতিরিক্ত শব্দ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। একে শব্দ দূষণ বলে। শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত, রক্তচাপ বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

• শব্দ দিয়ে বস্তুকে কাঁপানো: শব্দের তীব্রতা বৃদ্ধি করে কোনো বস্তুকে কাঁপানো সম্ভব। এটিই স্পিকারের কাজের মূলনীতি।
• শব্দ দিয়ে চিকিৎসা: আল্ট্রাসাউন্ডের মতো শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পরীক্ষা করা হয়।
• শব্দ দিয়ে শক্তি উৎপাদন: ভবিষ্যতে শব্দ শক্তিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হতে পার