লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে

 যখন লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায়, তখন হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি কি হতে পারে:

• পেট ফোলা এবং ব্যথা: লিভারের সমস্যা প্রায়ই শরীরের রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটায়। এটি অন্ত্র এবং অন্যান্য অংশে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে পেটের অঞ্চলে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া অনুভূত হতে পারে।
• ক্ষুধা কমে যাওয়া: লিভারের সমস্যার কারণে শরীর তার পুষ্টির ভাঙ্গা এবং হজম করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং আপনি স্বাভাবিকের মতো ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন না।
• ওজন কমে যাওয়া: ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং পুষ্টির অভাবের কারণে ওজন কমে যেতে পারে।
• জন্ডিস: লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে বিলিরুবিন নামক পদার্থ শরীরে জমতে পারে, যার ফলে চামড়া এবং চোখ হলুদ হয়ে যেতে পারে।
• চুলকানি: লিভারের সমস্যার কারণে চুলকানি হতে পারে।
• মলের রঙ পরিবর্তন: লিভারের সমস্যা মলের রঙকে হালকা বা পাতলা করে দিতে পারে।
• দুর্বলতা এবং ক্লান্তি: লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে শক্তি উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে দুর্বলতা এবং ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে।

লিভারের হজম শক্তি কমার কারণ:

• ফ্যাটি লিভার: অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
• লিভারের প্রদাহ: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালকোহলের কারণে লিভার প্রদাহ হতে পারে।
• লিভারের ক্যান্সার: লিভারের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
• অন্যান্য রোগ: হেপাটাইটিস, সিরোসিস ইত্যাদি রোগ লিভারের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:

উপরের উল্লিখিত লক্ষণগুলো লক্ষ্য করলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রতিরোধ:

• স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, সবজি, এবং পুরো শস্য খাবার বেশি করে খান।
• মদ্যপান পরিহার করুন: অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের জন্য ক্ষতিকর।
• শারীরিক ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
• ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: অতিরিক্ত ওজন ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
• সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক করুন: হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক করুন।