অতিরিক্ত সাদা স্রাব হলে কি হয়

• যোনিতে সংক্রমণ:
  • ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস: এটি একটি সাধারণ সংক্রমণ যা যোনিতে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়। এর ফলে দুর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব, চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • ইস্ট সংক্রমণ: এটি ছত্রাক সংক্রমণের কারণে হয়, যা ঘন, সাদা স্রাব, চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।
  • ট্রাইকোমোনিয়াসিস: এটি একটি যৌনবাহিত সংক্রমণ, যা হলুদ বা সবুজ, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, চুলকানি এবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা সৃষ্টি করে।
• জরায়ুর সমস্যা:
  • সার্ভিকাল পলিপস: জরায়ুর মুখে ছোট, নরম বৃদ্ধি, যা অতিরিক্ত স্রাব সৃষ্টি করতে পারে।
  • সার্ভিসাইটিস: জরায়ুর প্রদাহ, যা সাদা বা হলুদ স্রাব, তলপেটে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।
• হরমোনের পরিবর্তন:
  • গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে সাদা স্রাবের পরিমাণ বাড়তে পারে।
  • ডিম্বস্ফোটন: ডিম্বস্ফোটনের সময়ও স্রাবের পরিমাণ সামান্য বাড়তে পারে।
  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে হরমোনের পরিবর্তনের কারনেও সাদা স্রাব হতে পারে।
• অন্যান্য কারণ:
  • ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রোগীদের ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, যা অতিরিক্ত স্রাব সৃষ্টি করতে পারে।
  • যৌনবাহিত রোগ যেমন গনোরিয়া বা ক্ল্যামাইডিয়া এর কারনেও সাদা স্রাব হতে পারে।
  • মানসিক চাপ এর কারনেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে:

• স্রাবের রঙ, গন্ধ বা পরিমাণে পরিবর্তন হলে।
• স্রাবের সাথে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা ব্যথা থাকলে।
• তলপেটে ব্যথা বা জ্বর থাকলে।
• যৌন মিলনের সময় ব্যথা হলে।

অতিরিক্ত সাদা স্রাব একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি গুরুতর সংক্রমণের লক্ষণও হতে পারে। তাই, কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।