শক্তি কাকে বলে কত প্রকার – What are the types of energy?

শক্তি হলো আমাদের চারপাশের বিশ্বকে চালিত করার মূল শক্তি। এটি কোনো বস্তুকে কাজ করতে বা পরিবর্তন আনতে সক্ষম করে

শক্তি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হতে পারে এবং এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হতে পারে, কিন্তু এটি কখনোই সৃষ্টি হয় না বা ধ্বংস হয় না।

শক্তিকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

• গতিশক্তি: কোনো গতিশীল বস্তু গতিশীল থাকার জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য অর্থাৎ শক্তি অর্জন করে তাকে গতিশক্তি বল

• উদাহরণস্বরূপ, একটি ছুঁড়ে দেওয়া বল, একটি গতিশীল গাড়ি, একটি বাতাসে উড়ন্ত পাখি। গতিশক্তি বস্তুর ভর এবং বেগের উপর নির্ভর করে।
• স্থিতিশক্তি: কোনো বস্তুকে তার অবস্থানের কারণে যে শক্তি থাকে তাকে স্থিতিশক্তি বলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি উঁচু জায়গায় রাখা বল, একটি টানা ধনুকের বাণ, একটি সংকুচিত স্প্রিং। স্থিতিশক্তি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:
  • মহাকর্ষীয় স্থিতিশক্তি: কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরে সরানোর জন্য যে কাজ করতে হয়,
  • সেই কাজের সমান শক্তি বস্তুটিতে মহাকর্ষীয় স্থিতিশক্তি হিসেবে জমা থাকে।
  • স্প্রিংয়ের স্থিতিশক্তি: একটি স্প্রিংকে সংকুচিত বা প্রসারিত করলে স্প্রিংয়ে স্থিতিশক্তি জমা হয়।
  • বিদ্যুৎ স্থিতিশক্তি: দুটি বিপরীত চার্জযুক্ত বস্তুর মধ্যে স্থিতিশক্তি থাকে।

• তাপ শক্তি: কোনো বস্তুর অণু পরমাণুর কম্পনের কারণে উৎপন্ন শক্তিকে তাপ শক্তি বলে। গরম বস্তুর তাপ শক্তি বেশি হয়।
• আলোক শক্তি: সূর্য, বাল্ব ইত্যাদি থেকে নির্গত আলোতে আলোক শক্তি থাকে।
• শব্দ শক্তি: কোনো শব্দ উৎপন্ন হলে শক্তি সৃষ্টি হয়।
• চৌম্বক শক্তি: চুম্বকের মধ্যে চৌম্বক শক্তি থাকে।
• তড়িৎ শক্তি: বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে তড়িৎ শক্তি উৎপন্ন হয়।
• পারমাণবিক শক্তি: পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকা শক্তিকে পারমাণবিক শক্তি বলে।
• রাসায়নিক শক্তি: রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে রাসায়নিক শক্তি উৎপন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ, খাবারে রাসায়নিক শক্তি থাকে, যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে শারীরিক কাজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

শক্তি এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্টে পানির স্থিতিশক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে, তারপর যান্ত্রিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়