কন্ডোমের ব্যবহার এবং সুবিধা ও তথ্য

কন্ডম ব্যবহারের মাধ্যমে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এবং যৌন সংক্রমণজনিত রোগ (যেমন এইচআইভি, সিফিলিস, গনোরিয়া) থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।

• গর্ভধারণ প্রতিরোধ: কন্ডম সবচেয়ে সহজলভ্য এবং কার্যকরী জন্মনিরোধক পদ্ধতিগুলির মধ্যে অন্যতম।
• যৌন সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ: এটি যৌন সংক্রমণজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে।
• সহজলভ্য এবং সস্তা: কন্ডোম সহজেই পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা।
• কোনো হরমোনাল প্রভাব নেই: অন্যান্য জন্মনিরোধক পদ্ধতির মতো কন্ডম ব্যবহারে শরীরে কোনো হরমোনাল পরিবর্তন হয় না।
• তাত্ক্ষণিক কার্যকর: কন্ডোম ব্যবহারের সাথে সাথেই এটি কার্যকর হয়ে ওঠে।
• অতিরিক্ত সুরক্ষা: কিছু কন্ডোমে লুব্রিকেন্ট থাকে যা যৌনসঙ্গমকে আরও সুখকর করে তোলে।
• সঠিক আকারের কন্ডম ব্যবহার: কন্ডোমের প্যাকেটে ব্যবহার নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ুন এবং সঠিক আকারের কন্ডম ব্যবহার করুন।
• প্যাকেট খোলার আগে এক্সপায়ারি ডেট পরীক্ষা করুন।
• যৌনসঙ্গমের আগে কন্ডোম পরান: যৌনসঙ্গমের আগে উত্থিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে কন্ডোম পরান এবং সাবধানে রোল আপ করুন।
• বীর্যপাতের পর কন্ডোম সরিয়ে ফেলুন: বীর্যপাতের পর কন্ডোমটি সরিয়ে ফেলার সময় সাবধান হতে হবে যাতে বীর্য বের না হয়ে যায়।
• প্রতিবার নতুন কন্ডোম ব্যবহার করুন: একই কন্ডম দুবার ব্যবহার করা উচিত নয়।
• তেলভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়: তেলভিত্তিক লুব্রিকেন্ট কন্ডমকে নষ্ট করে দিতে পারে। জলভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন।
• কন্ডোম ফেটে গেলে বা ছিঁড়ে গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন: যদি কন্ডোম ফেটে যায় বা ছিঁড়ে যায়, তাহলে যৌনসঙ্গম বন্ধ করে দিন এবং নতুন কন্ডম ব্যবহার করুন।
• অ্যালার্জি: কিছু ব্যক্তির ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি থাকতে পারে। তাদের জন্য নন-ল্যাটেক্স কন্ডম ব্যবহার করা উচিত।

মনে রাখবেন: কন্ডোম ব্যবহার করা সুরক্ষিত যৌনজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এবং যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করার একটি নিশ্চিত উপায়।

আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে দ্বিধা করবেন না, জিজ্ঞাসা করুন।