Description
অবাধ্য স্বামীকে বাধ্য করার আমল ইসলামী শরিয়তে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার রয়েছে। স্বামীর কর্তব্য হলো স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ, বাসস্থান, চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা। স্বামী যদি এসব কর্তব্য পালন না করে বা স্ত্রীকে কষ্ট দেয়, তাহলে স্ত্রী তার প্রতি বাধ্য করতে পারে। এক্ষেত্রে স্ত্রী নিম্নলিখিত আমলগুলো করতে পারে: আরো পড়ুন: ছেলেদের মেয়েদের কন -ডম গুপ্ত – স্থান মেয়েদের পু -শি কিনতে – এখনই কিনুন
অবাধ্য স্বামীকে বাধ্য করার আমল
- প্রথমত, স্বামীকে ইসলামের বিধানাবলী সম্পর্কে বোঝানো উচিত। স্বামীকে বুঝানো উচিত যে, স্ত্রী তার অধিকারের দাবি করতে পারে। স্বামীর কর্তব্য হলো স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করা।
- দ্বিতীয়ত, স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার করা উচিত। স্বামীকে সম্মান করা, তার ভালোবাসা অর্জনের চেষ্টা করা উচিত।
- তৃতীয়ত, আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত। আল্লাহর কাছে দোয়া করে স্বামীকে বাধ্য করার জন্য সাহায্য চাওয়া উচিত।
আমলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- আল-ওয়ালিয়্যূ নামের জিকির করা। এ নামের অর্থ হলো “সাহায্যকারী, মুমিনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনকারী।” এই নামের আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য লাভ করা যায়।
- সুরা বাকারার ১৬৫ নম্বর আয়াত পাঠ করা। এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে, তারা তাদের প্রতি এমন ভালোবাসা পোষণ করে যেমন আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা উচিত। কিন্তু যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় তাদেরকেও অনেক বেশি ভালোবাসে।” এই আয়াতটি পাঠ করলে স্বামীর প্রতি স্ত্রী ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি পায়।
- সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করা। এই দুটি সূরাহ পাঠ করলে শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। স্বামী যদি অবাধ্য হয়, তাহলে শয়তানের প্রভাব থাকতে পারে। তাই এই দুটি সূরাহ পাঠ করা উচিত।
এছাড়াও, স্ত্রী স্বামীর সাথে কথা বলার সময় নম্রতা ও ভদ্রতা অবলম্বন করা উচিত। স্বামীকে কখনো অপমান করা বা তার সাথে ঝগড়া করা উচিত নয়। স্বামীকে বুঝানো উচিত যে, সে তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক স্বামীকে তার স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য পালনকারী ও স্ত্রীকে প্রতিপালনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণকারী বানিয়ে দিন।
Reviews
There are no reviews yet.