শিব শক্তি – Shiva Shakti

 ধারণা যা সৃষ্টি, ধ্বংস, পুরুষত্ব, নারীত্ব, চৈতন্য এবং জড়তার মধ্যকার সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করে।

• শিব: শিবকে সাধারণত ধ্বংসের দেবতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়। তিনি মহাযোগী, তপস্বী এবং মৃত্যুর দেবতা হিসেবেও পরিচিত।
• শিবের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল তাঁর নির্গুণ বা নিরাশ্রয় রূপ। তিনি সর্বত্র বিরাজমান, অসীম এবং অবর্ণনীয়।
• শক্তি: শক্তি হলেন শিবের স্ত্রী এবং তাঁর সক্রিয় শক্তি। তিনি সৃষ্টি, সংরক্ষণ এবং ধ্বংসের শক্তির প্রতীক।
• পার্বতী, কালী, দুর্গা ইত্যাদি তার বিভিন্ন রূপ। শক্তি সগুণ বা সস্বরূপ, অর্থাৎ তাঁর একটি নির্দিষ্ট রূপ এবং গুণ আছে।
• পরম সত্যের দুই মুখ: শিব এবং শক্তিকে একসাথে পরম সত্যের দুই মুখ হিসেবে দেখা হয়।
• শিব হলেন স্থির, অচল এবং নিরবধি, আর শক্তি হলেন গতিশীল, সক্রিয় এবং সর্বব্যাপী।
• সৃষ্টি ও ধ্বংসের সমতা: শিব ধ্বংস করেন এবং শক্তি সৃষ্টি করেন। এই দুই বিপরীত শক্তির মিলনেই মহাবিশ্বের চিরন্তন চক্র চলমান থাকে।
• পুরুষত্ব ও নারীত্বের একতা: শিব পুরুষত্বের প্রতীক এবং শক্তি নারীত্বের প্রতীক।
• এই দুই শক্তির মিলনেই পূর্ণতা আসে।
• চৈতন্য ও জড়তার মিলন: শিব জড়তার প্রতীক এবং শক্তি চৈতন্যের প্রতীক। এই দুই শক্তির মিলনেই জীবন সঞ্চালিত হয়।
• সাংসারিক ও মুক্তির মধ্যকার সম্পর্ক: শিব মুক্তির প্রতীক এবং শক্তি সাংসারিক জীবনের প্রতীক।
• এই দুই শক্তির মিলনেই মানুষ সাংসারিক বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে পরম সত্যের সাথে মিলিত হতে পারে।
• ত্রিশূল: শিবের প্রতীক, যা মায়া, অহংকার এবং কামকে ধ্বংস করে।
• ডামরু: শক্তির প্রতীক, যা সৃষ্টির শব্দ বহন করে।
• কমল ফুল: শক্তির প্রতীক, যা পবিত্রতা এবং সৃষ্টির প্রতীক।
• শ্মশান: শিবের তপস্যার স্থান, যা মৃত্যু এবং পুনর্জন্মের প্রতীক।
• লিঙ্গ: শিবের প্রতীক, যা সর্বশক্তিমান এবং সর্বত্র বিরাজমান।
• যোনি: শক্তির প্রতীক, যা সৃষ্টির উৎস।

শিব শক্তিকে একসাথে পূজা করা হয়। শিবরাত্রি, দুর্গাপূজা ইত্যাদি উৎসব এই উপাসনার প্রমাণ। শিব এবং শক্তির বিভিন্ন রূপকেও পূজা করা হয়। যেমন, শিবের পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র “ॐ নমঃ শিবায়” এবং শক্তির মন্ত্র “ॐ aim hrim klim chamundaye vicche”।