কবিতা নারী – Poetry is a woman

প্রথম চরণ

তুমি মা, তুমি বোন, তুমি প্রিয়া, তুমি সঙ্গীনি, তুমি সহচরী।

তোমার কোলে লালন পায় শিশু, তোমার স্নেহে ভরে ওঠে পৃথিবী।

দ্বিতীয় চরণ

তুমি রানী, তুমি দেবী, তুমি রমণী, তুমি সৌন্দর্যের মূর্তি, তুমি প্রেমের ধাম।

তোমার চাহনিতে মুগ্ধ হয় কবি, তোমার গানে মুখর হয় পৃথিবী।

তৃতীয় চরণ

তুমি শক্তি, তুমি সাহস, তুমি ধৈর্য, তুমি ত্যাগের মূর্তি, তুমি কর্তব্যের পথ।

তোমার সংগ্রামে গড়ে ওঠে জাতি, তোমার আত্মত্যাগে জ্বলে ওঠে দেশ।

চতুর্থ চরণ

নারী! তুমি আশীর্বাদ, তুমি অনুপ্রেরণা, তুমি জীবনের আলো, তুমি সুখের গান।

তোমার ছাড়া অন্ধকারে ডুবে যায় পৃথিবী, তোমার আলোয় উজ্জ্বল হয় জীবন।

শেষ চরণ

নারী! তোমাকে আমি নমস্কার জানাই, তোমার প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তুমি সৃষ্টির অর্ধেক রূপ, তুমি জীবনের আধার, সুখের আধার।

কবিতাটির বিশ্লেষণ

এই কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম নারীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। তিনি নারীকে সৃষ্টির অর্ধেক রূপ, জীবনের আধার, সুখের আধার বলে অভিহিত করেছেন। তিনি নারীর বিভিন্ন ভূমিকাও তুলে ধরেছেন।

নারী মা, বোন, প্রিয়া, সঙ্গীনি, সহচরী, রানী, দেবী, রমণী, সৌন্দর্যের মূর্তি, প্রেমের ধাম, কবির অনুপ্রেরণা, জীবনের আলো, সুখের গান বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি নারীর শক্তি, সাহস, ধৈর্য, ত্যাগ, কর্তব্যবোধ, আত্মত্যাগের কথাও বলেছেন। নজরুল এই কবিতায় নারীর প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।

কবিতাটির তাৎপর্য

এই কবিতাটি নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

নারীকে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষের চেয়ে অপর্যাপ্ত ও অধীন বলে মনে করা হত। কিন্তু নজরুল এই কবিতায় নারীর মহত্ত্ব ও গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

তিনি দেখিয়েছেন যে নারী পুরুষের চেয়ে কোনো অংশে কম নন। বরং নারী সমাজের অ