সাদা স্রাব কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ

তবে, গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা নিশ্চিত করার জন্য একা সাদা স্রাবের উপর নির্ভর করা উচিত নয়।

• হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন যোনির টিস্যুকে আরও রক্ত সরবরাহ করে এবং স্রাব বৃদ্ধি করে।
• জরায়ুর পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় জরায়ু বৃদ্ধি পায় এবং রক্ত প্রবাহ বাড়ে, যা স্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
• মাসিক বন্ধ: গর্ভাবস্থার সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রথম লক্ষণ।
• স্তনের পরিবর্তন: স্তন ফুলে ওঠা, কোমল হয়ে ওঠা এবং এর নিপলের রং পরিবর্তন হওয়া।
• বমি বমি ভাব বা বমি: বিশেষ করে সকালবেলায়।
• ক্লান্তি: সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা।
• প্রস্রাবের বার বার ইচ্ছা: জরায়ু বড় হওয়ার কারণে মূত্রথলির উপর চাপ পড়ে এবং প্রস্রাবের বার বার ইচ্ছা হয়।
• স্বাদের পরিবর্তন: আগে পছন্দ করা খাবার এখন অপছন্দ হতে পারে।
• ইস্ট সংক্রমণ: যোনিতে খামিরের সংক্রমণ হলেও সাদা স্রাব হতে পারে। এই ক্ষেত্রে স্রাব সাধারণত ঘন, দইয়ের মতো এবং চুলকানি হয়।
• ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাগিনোসিস: একটি ধরনের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ যা সাদা, ধূসর বা হলুদ রঙের স্রাবের কারণ হতে পারে।
• যৌন সংক্রামিত রোগ: ক্ল্যামিডিয়া বা গনোরিয়া যেমন কিছু যৌন সংক্রামিত রোগ সাদা স্রাবের কারণ হতে পারে।
• স্রাবের রং: যদি স্রাব সাদা ছাড়া হলুদ বা সবুজ হয়ে যায়।
• গন্ধ: যদি স্রাবের অদ্ভুত গন্ধ হয়।
• চুলকানি বা জ্বালাপোড়া: যদি স্রাবের সাথে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হয়।
• স্রাবের পরিমাণ: যদি স্রাবের পরিমাণ খুব বেশি হয়।
• জ্বর: যদি জ্বর হয়।
• বেদনা: যদি পেটে বা পিঠে ব্যথা হয়।

মনে রাখবেন: সাদা স্রাবের কারণ নির্ণয় করার জন্য এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের জন্য একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।