আয়নিকরণ শক্তি – ionization energy

একটি পরমাণুর আয়নিকরণ শক্তি কীভাবে নির্ধারিত হয়, তা জানতে হলে নিম্নলিখিত কারণগুলো বিবেচনা করতে হবে:

• নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ: নিউক্লিয়াসে প্রোটন যত বেশি থাকবে, তত বেশি শক্তিশালীভাবে ইলেকট্রনগুলোকে নিজের দিকে আকর্ষণ করবে।
• ফলে ইলেকট্রনকে অপসারণ করতে বেশি শক্তি লাগবে।
• ইলেকট্রনের শক্তিস্তর: নিউক্লিয়াস থেকে দূরত্ব বাড়ার সাথে সাথে ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের শক্তি বাড়তে থাকে।
• নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি ইলেকট্রনগুলোকে অপসারণ করতে বেশি শক্তি লাগবে।
• ইলেকট্রনের পরিরক্ষণ: ভিতরের শক্তিস্তরের ইলেকট্রনগুলো বাইরের শক্তিস্তরের ইলেকট্রনগুলোকে নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ থেকে কিছুটা রক্ষা করে। ফলে বাইরের শক্তিস্তরের ইলেকট্রনগুলোকে অপসারণ করতে কম শক্তি লাগবে।
• একটি পর্যায়ে বাম থেকে ডানে: নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা বাড়ার কারণে নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে আয়নিকরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
• একটি গ্রুপে উপর থেকে নিচে: ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াস থেকে দূরে সরে যায়।
• ফলে নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ শক্তি কমে যায় এবং আয়নিকরণ শক্তি হ্রাস পায়।
• পরমাণুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ: আয়নিকরণ শক্তি দিয়ে একটি পরমাণুর ধাতব বা অধাতব বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা যায়।
• সাধারণত কম আয়নিকরণ শক্তিবিশিষ্ট মৌলগুলো ধাতু এবং বেশি আয়নিকরণ শক্তিবিশিষ্ট মৌলগুলো অধাতু।
• রাসায়নিক বিক্রিয়া: আয়নিকরণ শক্তি একটি মৌলের রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকৃতি নির্ধারণ করে।
• কম আয়নিকরণ শক্তিবিশিষ্ট মৌল সাধারণত ইলেকট্রন দান করে আয়ন তৈরি করে।
• আণবিক কক্ষপথ তত্ত্ব: আয়নিকরণ শক্তি আণবিক কক্ষপথ তত্ত্বের মাধ্যমে আণবিক বন্ধনের প্রকৃতি বোঝার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
• সোডিয়াম (Na) এবং ক্লোরিন (Cl): সোডিয়ামের আয়নিকরণ শক্তি কম, কারণ এর বহিঃস্থ ইলেকট্রনটি নিউক্লিয়াস থেকে তুলনামূলকভাবে দূরে অবস্থিত।
• অন্যদিকে, ক্লোরিনের আয়নিকরণ শক্তি বেশি, কারণ এর বহিঃস্থ ইলেকট্রনটি নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অবস্থিত এবং নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ শক্তি বেশি।
• হিলিয়াম (He): হিলিয়ামের আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে বেশি, কারণ এর দুটি ইলেকট্রনই নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অবস্থিত এবং নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ শক্তি খুব বেশি।
•