উয়ারী বটেশ্বর কোন জেলায় অবস্থিত

  এখানে পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি আমাদেরকে এক সময়কার উন্নত সভ্যতার কথা বলে।

• মৌর্য যুগের স্পর্শ: উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা, লৌহ নিদর্শন ইত্যাদি মৌর্য যুগের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়।
• এটি ইঙ্গিত করে যে, এই অঞ্চলে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রভাব ছিল।
• দুর্গ-নগরী: বিশেষজ্ঞদের মতে, উয়ারী-বটেশ্বর একসময় একটি দুর্গ-নগরী ছিল।
• এর অর্থ হল, এই নগরীটি শক্তিশালী প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল এবং এটি একই সাথে একটি বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করত।
• প্রাচীন বাণিজ্য কেন্দ্র: উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা এবং বিদেশী বস্তু ইঙ্গিত করে যে, এই নগরীটি একসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল।
• এখান থেকে বিভিন্ন দেশে পণ্যসামগ্রী যাতায়াত হত।
• সভ্যতার উন্নয়ন: উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ স্থাপনা, মৃন্ময় বস্তু এবং অলঙ্কার ইত্যাদি প্রমাণ করে যে, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা কৃষি, শিল্প এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নত ছিল।
• ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা: এখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে, যা মৌর্য যুগের সাথে সম্পর্কিত।
• লৌহ নিদর্শন: বিভিন্ন ধরনের লৌহ নিদর্শন, যেমন হাতিয়ার, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে।
• মৃন্ময় বস্তু: বিভিন্ন ধরনের মৃন্ময় বস্তু, যেমন পাত্র, মূর্তি ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে।
• অলঙ্কার: বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার, যেমন কাঁচের চুড়ি, তামার কয়েন ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে।
• গৃহনির্মাণের নিদর্শন: বিভিন্ন ধরনের গৃহনির্মাণের নিদর্শন, যেমন ইটের দেয়াল, মেঝে ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে।

উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অনুধাবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এখান থেকে পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি আমাদেরকে এক সময়কার উন্নত সভ্যতার কথা বলে এবং আমাদের জাতীয় ইতিহাস সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানতে সাহায্য করে।

আপনি যদি উয়ারী-বটেশ্বর সম্পর্কে আরও জানতে চান তাহলে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খুঁজে দেখতে পারেন:

• উয়ারী-বটেশ্বরের ইতিহাস
• উয়ারী-বটেশ্বরে হওয়া খনন কাজ
• উয়ারী-বটেশ্বরের বর্তমান অবস্থা
• উয়ারী-বটেশ্বরের সংরক্ষণ কার্যক্রম

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।