ইম্মুনোলোজি টেস্ট নরমাল রেঞ্জ

ইমিউনোলজি টেস্টের স্বাভাবিক রেঞ্জ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:

• পরীক্ষার ধরন: বিভিন্ন ইমিউনোলজি টেস্টের জন্য স্বাভাবিক রেঞ্জ ভিন্ন।
• রোগীর বয়স: শিশুদের এবং বয়স্কদের স্বাভাবিক রেঞ্জ প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে আলাদা হতে পারে।
• লিঙ্গ: কিছু পরীক্ষার ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলাদের স্বাভাবিক রেঞ্জ সামান্য ভিন্ন হতে পারে।
• ল্যাবরেটরি: বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত পরীক্ষার পদ্ধতি এবং সরঞ্জামের কারণে স্বাভাবিক রেঞ্জে সামান্য পার্থক্য দেখা যেতে পারে।

কিছু সাধারণ ইমিউনোলজি টেস্ট এবং তাদের স্বাভাবিক রেঞ্জের একটি ধারণা নিচে দেওয়া হলো:

ইমিউনোগ্লোবুলিন (Immunoglobulin) টেস্ট: এই টেস্ট রক্তে বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিবডির (IgG, IgA, IgM, IgE) মাত্রা পরিমাপ করে।

• IgG:
  • প্রাপ্তবয়স্ক: প্রায় ৬০০-১৬০০ mg/dL (ল্যাবরেটরিভেদে সামান্য ভিন্ন হতে পারে)।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী ভিন্ন রেঞ্জ থাকে।
• IgA:
  • প্রাপ্তবয়স্ক: প্রায় ৭০-৩২০ mg/dL (ল্যাবরেটরিভেদে সামান্য ভিন্ন হতে পারে)।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী ভিন্ন রেঞ্জ থাকে।
• IgM:
  • প্রাপ্তবয়স্ক: প্রায় ৫০-৩০০ mg/dL (ল্যাবরেটরিভেদে সামান্য ভিন্ন হতে পারে)।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী ভিন্ন রেঞ্জ থাকে।
• IgE:
  • প্রাপ্তবয়স্ক: ০-১০০ IU/mL (ল্যাবরেটরিভেদে সামান্য ভিন্ন হতে পারে)।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী ভিন্ন রেঞ্জ থাকে।

কমপ্লিমেন্ট (Complement) টেস্ট: এই টেস্ট রক্তের কমপ্লিমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন প্রোটিনের মাত্রা পরিমাপ করে, যা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, C3 এবং C4। এইগুলির স্বাভাবিক রেঞ্জ ল্যাবরেটরিভেদে ভিন্ন হতে পারে।

অটোঅ্যান্টিবডি (Autoantibody) টেস্ট: এই টেস্ট শরীরে নিজস্ব টিস্যুর বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি সনাক্ত করে, যা অটোইমিউন রোগের নির্ণয়ে সাহায্য করে। এই টেস্টগুলির স্বাভাবিক ফলাফল সাধারণত “নেগেটিভ” (Negative) হওয়া উচিত, অর্থাৎ শরীরে কোন অটোঅ্যান্টিবডি সনাক্ত করা যায়নি।

সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন (C-reactive protein – CRP) টেস্ট: এটি শরীরে প্রদাহের একটি মার্কার। স্বাভাবিক রেঞ্জ সাধারণত ল্যাবরেটরিভেদে < 0.5 – 1.0 mg/dL এর কম।

এরিথ্রোসাইট সেডিমেন্টেশন রেট (Erythrocyte Sedimentation Rate – ESR) টেস্ট: এটিও শরীরে প্রদাহের একটি অ-নির্দিষ্ট মার্কার। স্বাভাবিক রেঞ্জ পুরুষদের জন্য ০-১৫ মিমি/ঘণ্টা এবং মহিলাদের জন্য ০-২০ মিমি/ঘণ্টা (বয়সের সাথে সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে)।