স্বামী কনডম দিয়ে খেলার পর বউ কিভাবে প্রেগনেন্ট হয়

কনডম ব্যবহারের পর গর্ভধারণের কারণ:

• কনডম ফেটে যাওয়া:
  • কারণ: কনডমের গুণগত মান কম হতে পারে, ব্যবহারের সময় নখ বা অন্য কোনো তীক্ষ্ণ বস্তু লেগে ফেটে যেতে পারে, বা অতিরিক্ত ঘর্ষণের কারণে ফেটে যেতে পারে।
  • উদাহরণ: কনডম পরার সময় যদি নখে লেগে ফেটে যায়, বা যৌন সম্পর্কের সময় যদি কনডম খুব টাইট বসে এবং ঘর্ষণের কারণে ফেটে যায়।
• কনডম সরিয়ে নেওয়ার সময় শুক্রাণু যোনিমুখে পড়া:
  • কারণ: কনডম সরিয়ে নেওয়ার সময় যদি লিঙ্গ যোনিমুখ থেকে পুরোপুরি বের হয়ে না আসে, তখন শুক্রাণু যোনিমুখে পড়ে যেতে পারে।
  • উদাহরণ: কনডম সরিয়ে নেওয়ার সময় যদি তাড়াহুড়ো করা হয় বা যদি লিঙ্গ যোনিমুখ থেকে সরিয়ে নেওয়ার আগে শিথিল না করা হয়।
• কনডম ঠিকভাবে না ব্যবহার করা:
  • কারণ: কনডম পরার আগে বা পরে হাত পরিষ্কার না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম ব্যবহার করা, তেল বা লোশন ব্যবহার করা, কনডম ঠিকভাবে না পরানো ইত্যাদি।
  • উদাহরণ: যদি কনডম পরার আগে হাত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে হাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া কনডমে ঢুকে গিয়ে তাকে নষ্ট করতে পারে।

কনডম ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন:

• গুণগত মান: সবসময় নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের কনডম ব্যবহার করুন।
• মেয়াদ: কনডমের মেয়াদ দেখে নিন। মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম ব্যবহার করবেন না।
• সঠিক আকার: আপনার জন্য সঠিক আকারের কনডম ব্যবহার করুন।
• পরিবেশ: কনডমকে তীক্ষ্ণ বস্তু থেকে দূরে রাখুন।
• তেল বা লোশন: কনডম ব্যবহারের সময় তেল বা লোশন ব্যবহার করবেন না।
• সঠিক পদ্ধতি: কনডম পরার আগে এবং পরে প্যাকেটে দেওয়া নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ুন এবং অনুসরণ করুন।

অন্যান্য গর্ভনিরোধক পদ্ধতি:

• গর্ভনিরোধক বড়ি: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়া যেতে পারে।
• কপার-টি: এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী গর্ভনিরোধক পদ্ধতি।
• ইনজেকশন: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নেওয়া যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

• কোনো গর্ভনিরোধক পদ্ধতিই 100% নিরাপদ নয়।
• গর্ভধারণ সম্পর্কিত কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।