স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি

স্বরবর্ণ হল সেই বর্ণ যা নিজে থেকে উচ্চারিত হতে পারে এবং অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়াই একটি শব্দ গঠন করতে পারে। বাংলা ভাষায় মোট ১১টি স্বরবর্ণ আছে: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।

• উদাহরণ: আমি, তুমি, সে, এই, ওই ইত্যাদি শব্দে স্বরবর্ণগুলি নিজে থেকেই শোনা যায়।

স্বরবর্ণের গুরুত্ব:

• শব্দ গঠন: স্বরবর্ণ ব্যতীত কোনো শব্দ গঠন করা সম্ভব নয়।
• উচ্চারণ: স্বরবর্ণের সাহায্যেই অন্য বর্ণগুলো স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়।
• ভাষার সুর: স্বরবর্ণের উচ্চারণের ভিন্নতার কারণে ভাষায় বিভিন্ন সুর তৈরি হয়।

ব্যঞ্জনবর্ণ হল সেই বর্ণ যা স্বরবর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে থেকে উচ্চারিত হতে পারে না। বাংলা ভাষায় মোট ৪০টি ব্যঞ্জনবর্ণ আছে: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়, ৎ, ং, ঃ, ঁ।

• উদাহরণ: কলম, ঘড়ি, বই, মিষ্টি ইত্যাদি শব্দে ব্যঞ্জনবর্ণগুলি স্বরবর্ণের সাহায্যে উচ্চারিত হয়।

ব্যঞ্জনবর্ণের গুরুত্ব:

• শব্দের অর্থ: ব্যঞ্জনবর্ণের ভিন্নতার কারণে শব্দের অর্থও ভিন্ন হয়।
• শব্দের ধ্বনি: ব্যঞ্জনবর্ণ শব্দকে ধ্বনিত করে।
• শব্দের স্পষ্টতা: ব্যঞ্জনবর্ণ শব্দকে স্পষ্ট করে।

একটি শব্দ গঠনের জন্য স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরী। স্বরবর্ণ শব্দকে প্রাণ দেয় এবং ব্যঞ্জনবর্ণ শব্দকে শক্তি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, “মা” শব্দে “ম” ব্যঞ্জনবর্ণ এবং “আ” স্বরবর্ণ মিলে একটি সম্পূর্ণ শব্দ গঠন করেছে।

মজার একটি তথ্য:

• বাংলা ভাষায় কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের সময় জিহ্বা, দাঁত, ওষ্ঠ ইত্যাদি অঙ্গের বিশেষ অবস্থানের কারণে ভিন্ন ধরনের শব্দ উৎপন্ন হয়।
• আবার কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের সময় শ্বাসের বেগের কারণেও শব্দের ধ্বনি ভিন্ন হয়।

সারসংক্ষেপ: বাংলা ভাষার স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে একটি সমৃদ্ধ ভাষা গঠন করেছে। এই বর্ণগুলির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সুন্দর ও স্পষ্ট বাংলা ভাষা বলতে পারি।

আপনার আর কোনো প্রশ্ন আছে?