Description
প্রতিদিন কয়টি চুল গজায় একজন সুস্থ মানুষের মাথায় গড়ে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ চুল থাকে। এই চুলগুলোর মধ্যে প্রতিদিন প্রায় 50 থেকে 150টি চুল পড়ে যায়। এই চুলগুলোর মধ্যে যেগুলো পড়ে যায়, সেগুলোর গোড়া থেকে আবার নতুন চুল গজায়। প্রতিদিন গড়ে 50 থেকে 150টি চুল পড়াটা স্বাভাবিক। এর চেয়ে বেশি চুল পড়লে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। আরো পড়ুন: ছেলেদের মেয়েদের কন -ডম গুপ্ত – স্থান মেয়েদের পু -শি কিনতে – এখনই কিনুন
প্রতিদিন কয়টি চুল গজায়
চুল গজানোর চক্র
চুল গজানোর একটি নির্দিষ্ট চক্র রয়েছে। এই চক্রটিকে অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন এবং টেলোজেন পর্যায়ে ভাগ করা হয়।
-
অ্যানাজেন পর্যায়ে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। এই পর্যায়টি প্রায় দুই থেকে আট বছর স্থায়ী হয়। এই পর্যায়ে চুলের গোড়ায় একটি কোষ থাকে যা চুলের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
-
ক্যাটাজেন পর্যায়ে চুলের বৃদ্ধি থেমে যায়। এই পর্যায়টি প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়। এই পর্যায়ে চুলের গোড়ার কোষটি মারা যায়।
-
টেলোজেন পর্যায়ে চুল ঝরে যায়। এই পর্যায়টি প্রায় দুই থেকে তিন মাস স্থায়ী হয়। এই পর্যায়ে চুলের গোড়া থেকে চুল ঝরে পড়ে।
চুল পড়ার কারণ
চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হল বংশগত কারণ। বংশগত কারণে চুল পড়লে তা সাধারণত পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। এছাড়াও, হরমোনের পরিবর্তন, পুষ্টির অভাব, মানসিক চাপ, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কিছু রোগ এবং কেমোথেরাপির কারণেও চুল পড়তে পারে।
বংশগত কারণ
বংশগত কারণে চুল পড়লে তা সাধারণত পুরুষদের ক্ষেত্রে অ্যালোপেসিয়ার মতো অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে। অ্যালোপেসিয়া হল একটি অবস্থা যেখানে মাথার নির্দিষ্ট অংশে চুল পড়ে যায়।
হরমোনের পরিবর্তন
নারীদের ক্ষেত্রে, গর্ভধারণ, গর্ভপাত, স্তন্যদান এবং মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তন চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
পুষ্টির অভাব
প্রোটিন, আয়রন, জিংক এবং সেলেনিয়ামের মতো পুষ্টির অভাব চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
মানসিক চাপ
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে চুল পড়তে পারে। যেমন, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং কেমোথেরাপি।
রোগের কারণে
কিছু রোগ, যেমন থাইরয়েড সমস্যা, অ্যানিমিয়া এবং কিছু ধরনের ক্যান্সার চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
কেমোথেরাপি
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে চুল পড়তে পারে। কেমোথেরাপি ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করে, কিন্তু এটি চুলের কোষগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
চুল পড়ার চিকিৎসা
চুল পড়ার কারণ নির্ভর করে চিকিৎসার পদ্ধতিও আলাদা হয়। যদি চুল পড়া বংশগত কারণে হয়, তাহলে এর কোনো চিকিৎসা নেই। তবে, কিছু ওষুধ এবং ট্রিটমেন্ট চুল পড়ার হার কমাতে সাহায্য করতে পারে। যদি চুল পড়া হরমোনের পরিবর্তন, পুষ্টির অভাব, মানসিক চাপ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা রোগের কারণে হয়, তাহলে এর কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা করা হলে চুল পড়া বন্ধ করা যেতে পারে।
চুল পড়া প্রতিরোধ
চুল পড়া প্রতিরোধের জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন,
- সুষম খা
Reviews
There are no reviews yet.