ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

এই প্রশ্নের সরল উত্তর হলেও, ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল ব্যক্তিভেদে এবং রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

সাধারণত, জ্বরের উপসর্গ 2 থেকে 7 দিনের মধ্যে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। কিন্তু এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, জ্বর কমে গেলেও ডেঙ্গুর কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা আরও দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে এবং এমনকি অন্যান্য সাধারণ জ্বরের মতোই মনে হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

• উচ্চ জ্বর: সাধারণত 102°F বা তার বেশি।
• মাথাব্যথা: বিশেষ করে চোখের পেছনে।
• পেশি ও জোড়ের ব্যথা: ভাঙা হাড়ের মতো ব্যথা হতে পারে।
• থকান: অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূতি।
• চামড়ায় ফুসকুড়ি: লাল রঙের ছোট ছোট দাগ বা ফুসকুড়ি।
• বমি ও বমিভাব: খাবার হজম করতে সমস্যা হতে পারে।
• গলা ব্যথা: কণ্ঠস্বর রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
• লিম্ফ নোড স্ফীতি: গলা, বগল বা কোমরে গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।

কিছু ক্ষেত্রে, ডেঙ্গু জ্বর গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন:

• ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর: এটি ডেঙ্গুর একটি গুরুতর রূপ, যেখানে রক্তক্ষরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম: এটি ডেঙ্গুর সবচেয়ে গুরুতর রূপ, যেখানে রক্তচাপ কমে যায় এবং অঙ্গের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা সাধারণত লক্ষণ উপশম করার উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

• বিশ্রাম: শরীরকে সুস্থ হওয়ার জন্য সময় দিন।
• প্রচুর পরিমাণে তরল পান: পানিশূন্যতা রোধ করতে।
• প্যারাসিটামল: জ্বর এবং ব্যথা কমাতে। অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন খাবেন না, কারণ এগুলি রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
• ডাক্তারের পরামর্শ: জটিলতা এড়াতে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।