হজম শক্তি বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ

আগের উত্তরে আমরা হজম শক্তি বাড়াতে হোমিওপ্যাথি কীভাবে কাজ করে এবং কয়েকটি সাধারণ ঔষধের কথা বলেছি। এবার আরও বিস্তারিত জানা যাক:

হোমিওপ্যাথির মূলনীতি হল, “সমান দিয়ে সমানকে নিরাময় করা”। অর্থাৎ, যে লক্ষণগুলি একজন ব্যক্তিকে অসুস্থ করে তোলে,

সেই একই লক্ষণগুলি স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিতে ক্ষুদ্র মাত্রায় দেওয়া হলে সেই লক্ষণগুলি দূর করতে সাহায্য করে।

হজমের ক্ষেত্রে, কোনো ব্যক্তি যদি অম্বল, গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্য অনুভব করে, তাহলে এই লক্ষণগুলির মিল রয়েছে এমন একটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেই ব্যক্তিকে দেওয়া হয়।

• Pulsatilla: যখন মেয়েদের হজমের সমস্যা হয়, বিশেষ করে মাসিকের সময়, তখন এই ঔষধটি খুবই কার্যকর।
• Antimonium Tart: যখন খাবার খাওয়ার পরে পেটে ভারী ভাব হয়, বমি বমি ভাব হয় এবং খাবার গলা দিয়ে বেরিয়ে আসে তখন এই ঔষধটি দেওয়া হয়।
• Bryonia: যখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং মল শক্ত হয়ে যায় তখন এই ঔষধটি দেওয়া হয়।
• Ipecac: যখন বমি হওয়ার ইচ্ছা হয় কিন্তু বমি বের হয় না তখন এই ঔষধটি দেওয়া হয়।
• ব্যক্তিগতকরণ: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যক্তিগতকৃত হয়। একই রোগের জন্য দুইজন রোগীর জন্য দুটি ভিন্ন ঔষধ দেওয়া হতে পারে।
• সময়: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাৎক্ষণিক ফলাফলের আশা করা উচিত নয়।
• অন্যান্য চিকিৎসার সাথে মিল: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অন্যান্য চিকিৎসার সাথে মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে, কোনো ঔষধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
• পরিবেশগত কারণ: হোমিওপ্যাথিক ঔষধের উপর পরিবেশগত কারণের প্রভাব পড়তে পারে। তাই, চিকিৎসার সময় জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনা জরুরি।

আগের উত্তরে উল্লেখিত ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি, আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মেনে চলতে পারেন:

• স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: স্ট্রেস হজমের সমস্যার একটি প্রধান কারণ। তাই, যোগ, ধ্যান বা অন্যান্য শিথিলকরণ কৌশল অবলম্বন করুন।
• প্রোবায়োটিক খাবার: দই, কফির, কিমচি ইত্যাদি প্রোবায়োটিক খাবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
• আয়ুর্বেদিক ঔষধ: আয়ুর্বেদিক ঔষধও হজমের সমস্যা দূর করতে সাতবে, কোনো আয়ুর্বেদিক ঔষধ খাওয়ার আগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।