অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ

 যদিও এটি অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া, কিন্তু কখনো কখনো এটি গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে।

• শারীরিক কারণ: তাপ, ব্যায়াম, উত্তেজনা, কিছু খাবার ইত্যাদি অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে।
• ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধ, যেমন রক্তচাপের ওষুধ, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ইত্যাদি ঘাম বাড়াতে পারে।
• হরমোন: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, মেনোপজ ইত্যাদি হরমোনজনিত পরিবর্তন ঘাম বাড়াতে পারে।
• সংক্রমণ: কিছু সংক্রমণ, যেমন জ্বর, যক্ষ্মা ইত্যাদি ঘাম বাড়াতে পারে।
• নিউরোলজিকাল সমস্যা: পার্কিনসন্স রোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি নিউরোলজিকাল সমস্যা ঘাম বাড়াতে পারে।
• ক্যান্সার: কিছু ধরনের ক্যান্সার, যেমন লিম্ফোমা, ঘাম বাড়াতে পারে।
• হৃদরোগ: হার্টের সমস্যা থাকলে ঘামের সাথে বুক ধড়ফড়, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
• ডায়াবেটিস: রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে হঠাৎ প্রচুর ঘাম হতে পারে।
• থাইরয়েড: থাইরয়েড গ্রন্থির অতিসক্রিয়তা ঘাম বাড়াতে পারে।
• যক্ষ্মা: যক্ষ্মা রোগীদের রাতে প্রচুর ঘাম হয়।
• ক্যান্সার: কিছু ধরনের ক্যান্সার ঘাম বাড়াতে পারে।
• মেনোপজ: মেনোপজের সময় হট ফ্লাশের কারণে প্রচুর ঘাম হয়।
• যদি ঘামের সাথে অন্য কোন উপসর্গ, যেমন জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা ইত্যাদি থাকে।
• যদি ঘামের কারণে দৈনন্দিন কাজে বাধা পড়ে।
• যদি কোন ওষুধ খাওয়ার পর ঘাম বাড়ে।

অতিরিক্ত ঘামের চিকিৎসা কারণের উপর নির্ভর করে। ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট, ইনজেকশন ইত্যাদি দিতে পারেন। গুরুতর ক্ষেত্রে সার্জারিও করা হতে পারে।

মনে রাখবেন: অতিরিক্ত ঘাম কোন গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই যদি আপনার অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে। কোনো রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।

আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন!

Would you like to know more about any specific aspect of excessive sweating?