স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দোয়া – Dua to increase memory power

 তবে শুধুমাত্র দোয়া নয়, এর সাথে জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনও স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।

দোয়ার শক্তি

• রাব্বি জিদনি ইলমা: এই দোয়ার অর্থ “হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।” এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হচ্ছে
• যেন তিনি আপনার জ্ঞান ও বুদ্ধি বৃদ্ধি করেন।
• সুবহানা রব্বিয়াল আজিম ও সুবহানা রব্বিয়ালা আ’লা: এই দোয়া দুটি রুকু ও সেজদায় পাঠ করা হয়। এগুলো পাঠ করলে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়
• এবং আল্লাহর পবিত্রতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এতে মন শান্ত হয় এবং স্মরণশক্তি বাড়তে সাহায্য করে।
• আল্লাহর জিকির: আল্লাহর নাম জিকির করা, যেমন সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি পড়লে মন একাগ্র হয় এবং স্মরণশক্তি বাড়তে পারে।
• কুরআন তিলাওয়াত: কুরআন তিলাওয়াত করলে মন শান্ত হয় এবং স্মরণশক্তি বাড়তে সাহায্য করে। কুরআনের শব্দ ও অর্থ মনে রাখার চেষ্টা করলে স্মরণশক্তি আরও বৃদ্ধি পায়।
• হাদিস শিক্ষা: হাদিস শিক্ষা করলে নবী (সা.) এর জীবন ও বাণী সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ে এবং নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে।
• এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে এবং স্মরণশক্তি বাড়তে সাহায্য করে।
• ধ্যান ও মনন: ধ্যান ও মনন করলে মন শান্ত হয় এবং স্ট্রেস কমে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্মরণশক্তি বাড়তে সাহায্য করে।
• সুষম খাদ্য: পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, বিশেষ করে মধু, কিসমিস, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া স্মরণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
• পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তাই প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
• ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
• স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস স্মরণশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই যোগ, ধ্যান, মনন ইত্যাদির মাধ্যমে স্ট্রেস কমানো উচিত।
• দোয়া ও আধ্যাত্মিক অনুশীলন: দোয়া ও আধ্যাত্মিক অনুশীলন স্মরণশক্তি বাড়াতে সহায়তা করলেও এটি কোনো চিকিৎসা নয়।
• চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি আপনার স্মরণশক্তি সম্পর্কে কোনো উদ্বেগ থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• সামাজিক যোগাযোগ: পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো, নতুন জিনিস শেখা এবং সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করা স্মরণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।