দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা দ্রুত বীর্যপাত বা ইংরেজিতে Premature Ejaculation (PE) হলো এক ধরনের যৌন সমস্যা যাতে একজন পুরুষ যৌন মিলনের শুরুতেই বা খুব দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলে। এটি একটি সাধারণ যৌন সমস্যা যা পুরুষদের প্রায় ৩০% ক্ষেত্রে দেখা যায়। আরো পড়ুন: ছেলেদের মেয়েদের কন -ডম গুপ্ত –  স্থান মেয়েদের পু -শি  কিনতে – এখনই কিনুন

দ্রুত বীর্য পাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

দ্রুত বীর্যপাতের প্রাকৃতিক চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো:

• মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ। তাই মানসিক চাপ কমাতে পারলে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যাও কমে যাবে। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান, যোগব্যায়াম, রিলাক্সেশন কৌশল ইত্যাদি অনুশীলন করা যেতে পারে।
• যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি: যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকাও দ্রুত বীর্যপাতের একটি কারণ হতে পারে। তাই যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যৌন শিক্ষামূলক বই, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট ইত্যাদি পড়তে পারেন।
• যৌন মিলনের সময় পদ্ধতি পরিবর্তন: যৌন মিলনের সময় পদ্ধতি পরিবর্তন করলে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমে যেতে পারে। যেমন, যৌন মিলনের শুরুতে ধীর গতিতে শুরু করে ধীরে ধীরে গতি বাড়াতে পারেন। এছাড়াও, যৌন মিলনের সময় সঙ্গীর সাথে কথা বলে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন।
• ব্যায়াম: ব্যায়াম দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
• খাদ্য তালিকা পরিবর্তন: কিছু খাবার দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। যেমন, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, ধূমপান ইত্যাদি। তাই এসব খাবার পরিহার করা উচিত।

এছাড়াও, কিছু প্রাকৃতিক উপাদানও দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন,

• আদা: আদা দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আদা চা বা আদার রস পান করতে পারেন।
• রসুন: রসুনও দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। রসুন খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
• জিনসেং: জিনসেং দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। জিনসেং চা বা জিনসেং ট্যাবলেট খেতে পারেন।
• ওটমিল: ওটমিল দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ওটমিল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা যদি খুব বেশি হয় বা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় কাজ না হয় তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার প্রয়োজনে ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।