জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসেবে কনডমের সঠিক ব্যবহার

  কিন্তু কনডমের সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হলে এর সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।

1. সঠিক সময়: যৌনসঙ্গমের আগে, শিশ্ন উত্তেজিত হওয়ার আগেই কনডম পরা উচিত।
2. প্যাকেট চেক: ব্যবহারের আগে কনডমের প্যাকেটের মেয়াদ দেখে নিন এবং কোনো ক্ষতি আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিন।
3. সঠিক দিক: কনডমের চুড়ায় একটি ছোট্ট রিং থাকে। এই রিংটি শিশ্নের মাথায় ফিট করানো হয়।
4. হাওয়া বের করা: কনডম পরার সময় এর মধ্যে যাতে কোনো হাওয়া না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
5. সঙ্গমের সময়: সঙ্গমের সময় কনডম যাতে খুলে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
6. বীর্যপাতের পর: বীর্যপাতের পর শিশ্নকে কনডমের মধ্যেই রেখে শরীর থেকে সরিয়ে নিতে হবে। কনডমটি মুচড়ে ধরে ফেলে দিতে হবে।
7. পুনঃব্যবহার না: কনডম একবার ব্যবহারের পর আর ব্যবহার করা যাবে না।

• অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধ: কনডম 98% কার্যকরীভাবে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে।
• যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ: এটি এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, সি এবং অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
• সহজলভ্য: কনডম সহজেই পাওয়া যায়।
• কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই: সাধারণত কনডম ব্যবহারের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।
• সঠিক ব্যবহার না করা হলে: যদি কনডম সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে এটি গর্ভধারণ এবং যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
• অস্বস্তি: কখনো কখনো কিছু লোক কনডম পরে অস্বস্তি বোধ করতে পারে।
• যৌনসুখ কমে যাওয়া: কিছু লোকের মতে, কনডম পরে যৌনসুখ কমে যেতে পারে।

মনে রাখবেন: কনডম ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কনডম আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

আরো জানতে চাইলে কোনো বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।