কনডম ব্যবহারেও হতে পারে ৪ রোগ, সাবধান

  কিন্তু, কনডম ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি জানা খুবই জরুরি। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:

• ল্যাটেক্স কনডম: সবচেয়ে সাধারণ এবং সুলভ। অধিকাংশ ফার্মেসিতে পাওয়া যায়।
• পলিউরেথেন কনডম: ল্যাটেক্সের চেয়ে পাতলা এবং তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল। ল্যাটেক্সের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
• ল্যাম্বস্কিন কনডম: প্রাকৃতিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। তবে, এটি সকল যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে না।

1. মেয়াদ পরীক্ষা: ব্যবহারের আগে কনডমের মেয়াদ দেখে নিন। মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম ব্যবহার করবেন না।
2. প্যাকেট খোলার পদ্ধতি: প্যাকেটটি দাঁত বা অন্য কোনো ধারালো বস্তু দিয়ে না ফাটিয়ে, নির্দেশ অনুযায়ী খুলুন।
3. পর্যাপ্ত লুব্রিকেন্ট: যদি কনডমে পর্যাপ্ত লুব্রিকেন্ট না থাকে, তাহলে জলভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন। তেলভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ল্যাটেক্স কনডম নষ্ট করে দিতে পারে।
4. সঠিকভাবে পরা: কনডমের অগ্রভাগে থাকা ছোট্ট ফাঁকা জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে, শিষ্নের মাথায় পরান।
5. বাতাস বের করা: কনডমের ভিতরে বাতাস আটকে থাকলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরার সময় ভালো করে চেপে ধরে বাতাস বের করে নিন।
6. সঙ্গমের পর: সঙ্গমের সময় শিষ্ন শিথিল হওয়ার আগেই কনডম সরিয়ে ফেলুন। কনডম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে শিষ্ন থেকে সরে যাওয়ার আগেই কনডমের মুখ বেঁধে নিন।
7. নিরাপদভাবে ফেলা: ব্যবহৃত কনডমকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে আবর্জনার ডবায় ফেলে দিন। টয়লেটে ফ্লাশ করবেন না।

• অ্যালার্জি: ল্যাটেক্সের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে পলিউরেথেন বা ল্যাম্বস্কিন কনডম ব্যবহার করুন।
• অস্বস্তি: যদি কনডম পরে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে অন্য ব্র্যান্ড বা ধরনের কনডম চেষ্টা করতে পারেন।
• ফেটে যাওয়া: মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম, তেলভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার, বা সঠিকভাবে না পরার কারণে কনডম ফেটে যেতে পারে।
• ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া: নখ বা অন্য কোনো ধারালো বস্তুতে লেগে কনডম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
• অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধ: সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কনডম গর্ভধারণ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
• যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ: এইচআইভি, হিপাটাইটিস বি, সি এবং অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
• আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: নিরাপদ যৌনসম্পর্কের মাধ্যমে আপনি এবং আপনার সঙ্গী দুজনেই আরামদায়ক এবং আত্মবিশ্বাসী অনুভব করবেন।