খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার দোয়া – Dua to refrain from bad deeds

আপনি যে দোয়াগুলো জানতে চেয়েছেন, সেগুলোর অর্থ এবং তা কেন পড়া হয় সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাক:

• নাউজুবিল্লাহ: এই দোয়ার অর্থ হল, “আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।” কোনো মন্দ কাজ দেখলে, শুনলে বা নিজে করতে চাইলে এই দোয়া পড়া হয়।
• এটি আমাদেরকে শয়তানের ওসওসা থেকে রক্ষা করে এবং সৎকর্মের দিকে পরিচালিত করে।
• আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আমালি ওয়াল আহওয়ায়ি: এই দোয়ার অর্থ হল, “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই মন্দ চরিত্র, মন্দ কাজ এবং মন্দ চিন্তা থেকে।”
• এই দোয়া আমাদেরকে সার্বিকভাবে মন্দ কাজ থেকে রক্ষা করে।
• আল্লাহুম্মা ইহদিনী সিরাতাল মুস্তাকিম: এই দোয়ার অর্থ হল, “হে আল্লাহ! আমাকে সরল পথে পরিচালিত করুন।”
• এই দোয়া আমাদেরকে সর্বদা সঠিক পথে চলতে সাহায্য করে।
• আস্তাগফিরুল্লাহ: এই দোয়ার অর্থ হল, “আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।”
• আমরা যদি ভুল করে কোনো মন্দ কাজ করে ফেলি, তাহলে এই দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

দোয়ার পাশাপাশি আরও কিছু করণীয়:

• কুরআন তিলাওয়াত: কুরআন তিলাওয়াত মনকে শান্ত করে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
• কুরআনের আয়াতগুলোতে নৈতিক শিক্ষা রয়েছে, যা আমাদেরকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে।
• নামাজ: নামাজ আদায় করা ইমান বাড়ায় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করি এবং তার হুকুম মেনে চলার প্রতিজ্ঞা করি।
• সৎসঙ্গ: ভালো মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো। ভালো মানুষের সঙ্গে মেলাজোল করলে আমরাও ভালো কাজের দিকে উৎসাহিত হই।
• ইসলামী জ্ঞান অর্জন: ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করলে আমরা ভালো আর মন্দ কাজের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারি।
• সৎকর্ম করা: সৎকর্ম করা মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে। যখন আমরা ভালো কাজ করি, তখন আমাদের মনে মন্দ কাজের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
• ধৈর্য ধরা: মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা সবসময় সহজ হয় না। তাই ধৈর্য ধরে চেষ্টা করে যেতে হবে।