কবর কবিতা সম্পূর্ণ লেখা – Complete writing of grave poems

 , জসীম উদ্দীনের লেখা “কবর” কবিতাটি নিচে দেওয়া হলো:

এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
তিরিশ বছর

ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেলে কেঁদে ভাসাইত বুক।

এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি খুঁজিয়া দেখিত না পেয়ে এক তারা।
আমারও ছোটো ছেলে মেয়ে ছিল, তারা তো বাঁচেনি ভাই,
তাদের কবর পাশে পাতা আছে, দেখবি যদি তুই যাই।

শত বছরে বুড়ো আমি আজ, চোখে দেখিনে কিছু আর,
তবুও যেন মনে হয়, তারা আজও ঘুরে ঘরে আমার।
তাদের আমি দেখিতে পাইনি, দেখবি যদি তুই যাস,
তাদের কবর ঘিরে আছে কত শত বুনো ঘাস।

এইখানে তোর বাপজান শুয়ে,

এইখানে তোর মা,
তাদের কবরে জোনাক জ্বলে,

দেখবি যদি তুই যা।
তাদের আমি দেখিতে পাইনি,

দেখবি যদি তুই যাস,
তাদের কবর ঘিরে আছে কত শত বুনো ঘাস।

এইখানে তোর বাপজান শুয়ে, এইখানে তোর মা,
তাদের কবরে জোনাক জ্বলে,

দেখবি যদি তুই যা।
শত বছরে বুড়ো আমি আজ, চোখে দেখিনে কিছু আর,
তবুও যেন মনে হয়, তারা আজও ঘুরে ঘরে আমার।

তাদের আমি দেখিতে পাইনি, দেখবি যদি তুই যাস,
তাদের কবর ঘিরে আছে

কত শত বুনো ঘাস।
এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।