অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে

ঘরোয়া উপায়:

• প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পানি শরীরে জলীয় ভারসাম্য রক্ষা করে এবং শ্লেষ্মা পাতলা করে, যা কাশি কমাতে সাহায্য করে। চা, স্যুপ, গরম পানিও উপকারী।
• মধু: মধু কাশি দমনকারী হিসেবে কাজ করে এবং গলাকে শান্ত করে।
• গার্গল: কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা এবং কাশি দুইই কমে।
• আদা: আদা চা বা আদা চাটনি কাশি কমাতে সাহায্য করে।
• বাষ্প: গরম পানির বাষ্প নিঃশ্বাস নেওয়া শ্বাসনালির জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। এতে কিছুটা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশাতে পারেন।
• আরাম: যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম কাশি সারাতে সহায়ক।
• সুষম খাবার: ফল, সবজি এবং প্রচুর পরিমাণে পানি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ওষুধ:

• কাশি দমনকারী ওষুধ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাশি দমনকারী ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
• শ্লেষ্মা পাতলা করার ওষুধ: যদি কাশির সাথে শ্লেষ্মা বের হয়, তাহলে ডাক্তার শ্লেষ্মা পাতলা করার ওষুধ দিতে পারেন।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:

• কাশি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে
• কাশির সাথে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা বা রক্ত বের হলে
• কাশির কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে
• কাশির সাথে ওজন কমে গেলে

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

• কাশির কারণ অনেক কিছু হতে পারে। তাই সঠিক চিকিত্সার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
• ধূমপান কাশিকে আরও খারাপ করে তোলে। তাই ধূমপান ত্যাগ করা উচিত।
• পরিবেশ দূষণ কাশির একটি কারণ হতে পারে। তাই পরিবেশ দূষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা জরুরি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্য সরবরাহের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন।

আশা করি এই তথ্য আপনার কাজে আসবে।

আপনার আরো কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।