সাদা স্রাব হলে কি ক্ষতি হয়

কখন সাদা স্রাব সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে:

• পরিমাণ: যদি স্রাবের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, তাহলে তা কোনো সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
• রং: সাদা ছাড়াও যদি স্রাবের রং হলুদ, সবুজ বা রক্তাক্ত হয়, তাহলে তা গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
• গন্ধ: যদি স্রাব থেকে অপ্রীতিকর গন্ধ আসে, তাহলে তা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।
• অন্যান্য লক্ষণ: যদি স্রাবের সাথে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা যৌনসঙ্গমের সময় অস্বস্তি হয়, তাহলে তা সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।

সাদা স্রাবের কারণ:

• স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া: মাসিকের আগে বা পরে সাদা স্রাব হওয়া স্বাভাবিক।
• হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থা, মেনোপজ বা জন্মনিরোধক গ্রহণের কারণে হরমোনের পরিবর্তন সাদা স্রাব বাড়াতে পারে।
• সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস, ইস্ট ইনফেকশন, ট্রাইকোমোনিয়াসিস ইত্যাদি সংক্রমণের কারণে সাদা স্রাব হতে পারে।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:

• যদি স্রাবের পরিমাণ, রং, গন্ধ বা অন্যান্য লক্ষণ আপনাকে চিন্তিত করে।
• যদি স্রাবের সাথে অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

প্রতিরোধ:

• সুতির আন্ডারওয়্যার পরুন।
• প্রতিদিন গোসল করুন এবং যোনির পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করুন।
• সাবান বা পারফিউমযুক্ত স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
• যৌনসঙ্গমের সময় কনডম ব্যবহার করুন।
• স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।

মনে রাখবেন:

সাদা স্রাবের কারণ এবং চিকিত্সা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তাই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আপনি কি আরও কিছু জানতে চান?